Type Here to Get Search Results !

   Choose Your Language   

ক্রিয়াযোগ এর রামায়ণ চরিত্র গুপ্ত সাধনা, রহস্যময় ক্রিয়া যোগ সাধনা, Kriya yog Ramayan, mahavattar Baba ji, shyamacharan Lahiri mahashay,


ক্রিয়াযোগ এ রামায়ণ চরিত্র, ক্রিয়া যোগ সাধনা, Kriya yog sadhana


***#ক্রিয়াযোগে রামায়ন চরিত্র স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]

  স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]  স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]  স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]  স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]

  স্থূল জগতের বাইরেও ভিন্ন মাত্রার সুক্ষ্ম একটি জগত আছে। রামায়ণ শুধু মাত্র একটি মহাকাব্যই নয় এর অনেক যৌগিক প্রতীকী অর্থও আছে । ***#রাম হালেন পরমাত্মা। তাঁকে রাম বলা হয়েছে এই কারণে যে , তিনি মানবদেহের মধ্যে পরমাত্মা রুপে বাস করে । ৭২,০০০ নাড়ির ওপর প্রভুত্ব করেন । এই প্রভুত্বের জন্যই তাঁকে বলা হয় রাজা রাম । ***#লক্ষন হলেন মনঃযােগ । এই মনঃসংযােগ দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি দেহের স্থূল অংশ থেকে অর্থাৎ , মূলাধার থেকে শূন্যতায় যেতে পারে অর্থাৎ , মস্তিষ্কের পরম শূন্যস্থানে বা সহস্রারের কূটস্থানে যেতে পারে । লক্ষ্মণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মহাশূন্যতা অর্থাৎ পরমাত্মা অর্থাৎ , রাম। ***#সীতা হলেন কুণ্ডলিনী শক্তি। ভূগর্ভ বা মূলাধার থেকে তাঁর উত্থান হয় । জনকের মতাে রাজর্ষি তাকে সাধনা করে জাগরিত করেছিলেন কর্ষণ করে । কর্ষণ হল কুলকুণ্ডলিনী জাগরণের জন্য দেহ কর্ষণ অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে দেহের ষটচক্র ভেদ । ***#শিবের ধনু , হল Medulla Oblongata অর্থাৎ মস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা পেছনের স্থান, মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত । এই Madula Oblongata দেহের নানান ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক । ***#দশরথ হলেন দশটি রথ অর্থাৎ , দশ ইন্দ্রিয়ের প্রভু । ***#রাবণ হলেন অহঙ্কার পূর্ণ সাধক , এক ধরনের অভিচার ক্রিয়াকারী তান্ত্রিক । তিনি লঙ্কার রাজা । মূলাধার বীজের লং থেকেই লংকা শব্দ এসেছে । মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে ছয়টি চক্র আছে তার মধ্যে পাঁচটি হল বস্তুজগত যে উপাদান দিয়ে তৈরি , সেই উপাদানের প্রতীক । যেমন মূলধার হল ক্ষিতি , স্বাধিষ্ঠান হল অপ , মণিপুর হল তেজ, অনাহত হল মরুৎ , বিশুদ্ধ hol ব্যোম । রাবণের ক্রিয়াকলাপ এই মূলাধারকে ঘিরেই । রাবণেব দশমাথা দশটি ইন্দিয়ের প্রতীক। রাবন শব্দের অর্থ চিৎকারকারী, যে অহংকার ত্যাগ করতে না পেরে আত্মগরিমা প্রদর্শন করে চলছে। সে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মোক্ষের পথে পরিচালিত না করে এরা স্থূল জগতের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে চায় । তাকে বিপথে চালিত করতে চায় । কুণ্ডলিনীকে তার নিজস্ব পথ থেকে বিচ্যুৎ করে স্থূল জগতের মধ্যে অটিকে রাথাই হল সীতাকে অপহরণ করা। ***#সীতা স্বয়ং কুণ্ডলিনী শক্তি । এই জন্যই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন বলে বলা হয়েছে । রাবণ মায়াবী , অর্থাৎ যে স্থূল জগৎ মায়াপূর্ণ তারই মধ্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে ধরে রেখে নিচুবাসনা চরিতার্থ করতে চান । রাবণ হলেন নিকৃষ্ট তান্ত্রিক , যে শক্তিকে জাগরিত করে তাকে বিপথে চালায় , দিব্যকাজে বাধা দান করে যেমন- সাধকের সাধনায় বাধা দেয়। ***#লক্ষণ হলেন সাধকের প্রতীক । রামের সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ অর্থ রামের নিজেকে মেলে ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করা । ***#হনুমান রাবণের পরমশত্রু , কারণ তিনি হলেন প্রাণবায়ুর প্রতীক । এই প্রাণবায়ুই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে তার পাত্র অর্থাৎ পরমাত্মার কাছে অর্থাৎ রামের কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । হনুমান লঙ্কা দাহ করেছিলেন । এর অর্থ মূলাধারে তেজ সৃষ্টি করে সেই তেজ বা তাপের সাহায্যে কুণ্ডলিনী শক্তিকে উধের্ব উঠিয়েছিলেন । ***#এইভাবে সমগ্র রামায়ণ কাহিনীই যৌগিক প্রতীকী ভাষায় সাধকের সুবিশাল রহস্যময় অভিজ্ঞতা। [ রতন কর্মকার, ঢাকা, বাংলাদেশ What's app +8801811760600 ]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.