সপ্তচক্রে সপ্তদেবী
সপ্তচক্রে সপ্তদেবী সপ্তচক্রের প্রতিটি চক্রের শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন দেবী শক্তির কল্পনা করা হয়েছে। দেবী কল্পনা করা হয়েছে এই কারণে যে, এখানে শক্তি মূলত স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে কল্পিত। বিভিন্ন চক্রের শক্তির নাম ও পরিচয় দেয়া হলো। ★(১) মুলাধারঃ এখানে শক্তির দেবীর নাম ডাকিনী। তিব্বতের ডাক শব্দ থেকে ডাকিনী শব্দ এসেছে। ডাক অর্থ জ্ঞান। ডাক অর্থ রমনী। এই চক্রে প্রথম জ্ঞানের উদয় হয়। ভিন্ন মতে এই শক্তির নাম শাকিনী। সংস্কৃত 'শক' বা শক্তি থেকে শাকিনী শব্দ এসেছে। এই শক্তিকে অনেকে বলেন কামশক্তি। মুলাধারে আছে অস্থিধাতুব শক্তি। ★(২) সাধিষ্ঠানঃ স্বাধীষ্ঠান চক্রের দেবী শক্তির নাম রাকিনী। রাকিনী হলেন মধ্যমা শক্তি। রাকিনী মেদ ধাতুর শক্তি। ★(৩) মণিপুর চক্রঃ এই চক্রের দেবীশক্তির নাম হল লাকিনী। বর্ন শক্তি বিচারে প্রচণ্ড তেজোময় শক্তি। বেীদ্ধ মতে ক্ষুধাতুরা শক্তি। ইনি মাংস ধাতুর শক্তি। ★(৪) অনাহত চক্রঃ এই চক্রের দেবীশক্তির নাম কাকিনী। ইনি মধ্যমা শক্তি। তিনি রক্তধাতুর শক্তি। হৃদপিন্ডই রক্তের মূল স্থান। ★(৫) বিশুদ্ধচক্রঃ এই চক্রের দেবীশক্তির নাম শাকিনী। ইনি একধরনের স্নিগ্ধশক্তির প্রতিনিধি। বৌদ্ধরা একে বলেন সুবেশা যােগিনী। অর্থাৎ সুসন্নিবেশিতা যােগশক্তি। দেহের কুণ্ডলিনীশক্তি এখানে উঠলে নিবিড় নীল রঙ চোখে পড়ে, যে রঙ স্নিগ্ধতায় ভরা। ★(৬) আজ্ঞা চক্রঃ এই চক্রের দেবীশক্তির নাম হাঁকিনী। বৌদ্ধরা বলেন চিৎকারকারিণী। এখানে একধরনের বিস্ফোরণ জনিত ভাব লক্ষ্য করা যায়। ফলে হাঁক জাতীয় শব্দ হয়। আসলে ওঁ শব্দ তো বিস্ফোরণ জাতীয় ব্যোম শব্দ থেকেই এসেছে। এই শক্তিকে অনেকেই মজ্জাধাতুর শক্তি বলে মনে করেন। মূলত মজ্জাশক্তিই আসল শক্তি। কারণ মেরুদণ্ডের শক্তিই মানবের আসল শক্তি । ★(৭) সহস্রারঃ এখানে সহস্ৰ দল পদ্মের কল্পনা করা হয়েছে। এর দ্বারা এমন ফিকোয়েন্সি বােঝানাে হয়েছে, যা বহুমাত্রিক। সহস্রার তিন ভাগে বিভক্ত। নিম্ন থেকে উধর্বদিকে প্রথমে রয়েছে আনন্দ অংশ। এই অংশের দেবীশক্তির নাম হ্লাদিনী। এর উপরে রয়েছে চিৎ অংশ। এই অংশের শক্তির নাম চিৎরুপিণী বা সম্বিত। শক্তি এখানে শূন্যের সঙ্গে শূন্য অবস্থায় এমন করে সন্ধি করে আছে যে, একে সন্ধিনীও বলা হয়। *************************** রতন কর্মকার ঢাকা, বাংলাদেশ What's app: +8801811760600
©yogsiddhi.in. Gupta Sadhak Sadhika and Sadhana book in Bengali pdf download,