দুর্গাপুজোর ১০৮টি পদ্মের বিশেষ কি গুরুত্ব আছে?
দুর্গাপুজোর ১০৮টি পদ্মের বিশেষ কি গুরুত্ব আছে?https://www.yogsiddhi.in Durga Puja Mahalaya |
জানেন
ঢাকের কাঠি পড়ল বলে। হিসেব অনুযায়ী মাঝে আর একটা মাস। ইতিমধ্যেই দুর্গা পুজো বাঙালির দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে দিয়েছে। বহু মানুষ পুজোর প্ল্যানিং করতে ব্যস্ত।
আবার অনেকেই জমিয়ে শপিং করার প্ল্যান করছেন। দুর্গা পুজো আদতে বাঙালির আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
পাশাপাশি রয়েছে নানান রীতি রেওয়াজ এবং মানুষের মনের বিশ্বাস। এই দুর্গা পুজোতেই প্রয়োজন ১০৮টি পদ্ম। মনে করা হয়, এই ১০৮টি পদ্ম ছাড়া দেবীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। অষ্টমী এবং নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণে থাকে সন্ধিপুজো। এই সময় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ম হল দেবীর পায়ে ১০৮টি পদ্ম অর্পণ করা। পাশাপাশি জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ। কিন্তু বেছে বেছে কেন ১০৮টি পদ্ম নেওয়া হয়? অন্য কোন সংখ্যাও তো থাকতে পারত? আসলে এই ১০৮ সংখ্যাটির বেশ অনেকগুলি বিশেষত্ব রয়েছে। হিন্দু সংস্কৃতিতে এই সংখ্যাটির গুরুত্ব নেহাত কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গা পুজোতে ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি প্রদীপ আবশ্যিকhttps://www.yogsiddhi.in osadharn ekta।
পাঁকে জন্মেও পবিত্র:
পদ্ম নিজে পাঁকে জন্মেছে অথচ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে জাতীয় ফুল হিসেবে। এর জন্য পদ্মের কদর আর অহংকার কম নয়। পুজোর বাজারে পদ্মফুল কিনতে গেলে সাধারণ বাঙালি রীতিমত হিমশিম খেয়ে যান। মাঝে মাঝে একেবারেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ে অথবা এতটাই চড়া দাম হয় যা সাধ্যের বাইরে। পাঁকে জন্মালেও পদ্ম বেড়ে ওঠার সময় তার সৌন্দর্য্যে কোন কাদার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় না। তাই গ্রাম বাংলায় পদ্ম ফুলকে নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানান প্রবাদ প্রবচন।
রামায়ণে ১০৮টি পদ্ম:
তবে মাঝে মাঝে সময় বিশেষে পদ্ম যতই দুষ্প্রাপ্য হোক, পুজো মণ্ডপে উপস্থিত থাকা অবশ্যই চাই। আশ্বিন মাসের শুক্লা অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে সন্ধিপুজো হয়। সন্ধিপুজো সাধারণত অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণের পুজো। এই পুজোতে দেবীর পায়ে ১০৮টি পদ্ম উত্সর্গ করতে হয়। সংখ্যায় একটিরও এদিক ওদিক হলে চলবে না। এই বিশেষ সন্ধিক্ষণে পুরাণ মতে দেবী বধ করেছিলেন চন্ড ও মুণ্ড নামক দুই অসুরকে।
আবার কৃত্তিবাসী রামায়ণে দেখতে পাওয়া যায় রাক্ষস রাবণকে বধ করার রামচন্দ্র আশ্বিন মাসে করেছিলেন দেবীর অকালবোধন। পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় ১০৮টি পদ্ম । কিন্তু পুজোর আসনে বসে রামচন্দ্র দেখেন একটি পদ্ম কম রয়েছে। অগ্যতা রামচন্দ্র নিজের নীল কমলাক্ষী দিয়ে দেবীর আরাধনা করতে উদ্যত হন। তখনই আবির্ভূত হন দেবী এবং তাঁর পরম আশীর্বাদ করেন রামচন্দ্র। ফলে রামচন্দ্র সহজেই বিনাশ করতে পেরেছিলেন রাক্ষস রাজা রাবণকে।
©www.yogsiddhi.in
YouTube - YogiKathaOfficial