জ্ঞান যখন অজ্ঞানে থাকে তখন অজ্ঞানটাকেই জ্ঞান মনে হয়,
পূর্ণজ্ঞানে কেবল জ্ঞান থাকে—জ্ঞানের কোন বিষয় থাকে না। কারণ
জ্ঞানে বিষয় থাকলে—ওই বিষয় অনুসারে জ্ঞান হয়ে দাঁড়ায়। আর জ্ঞানটা
মুক্ত হওয়ার আগে সকলের ক্ষেত্রে এটাই হয়ে থাকে। কোন বিষয় মানেই
সীমিত
অবস্থাকে বােঝায়। তাই জ্ঞানের বিষয় ব্যবহার করলে জ্ঞানটা যদি
ওই সময় নিজক্ষেত্রে সচেতন না থাকে, তবে বিষয়টাই জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ
করে জ্ঞানটাকে বিষয়জ্ঞানে পরিণত করে দেয়। তাই জ্ঞান যদি এক্ষেত্রে মুক্ত
থাকে তবে অজান্তে জ্ঞানটা যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে—ব্যক্তি তা টেরও
পায় না। তখন ব্যক্তির কাছে বিষয় জ্ঞানটাই জ্ঞান হয়ে দাঁড়ায়। এইভাবে
জ্ঞান মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সকলের ক্ষেত্রে অজ্ঞানটাই জ্ঞান হয়ে দাঁড়ায়।
তখন আর অজ্ঞানটাকে অজ্ঞান মনে হয় না—জ্ঞানই মনে হয়। আর ওই
অবস্থায় বদ্ধ থাকলে ওই অজ্ঞানটাকেই সংগৃহীত জ্ঞান দ্বারা রক্ষা করার
প্রচেষ্টা হয়। এইভাবে সংগৃহীত বাহ্য জ্ঞান দ্বারা আমরা যে নিজ অজ্ঞানতাটাকেই
রক্ষা করি তা বুঝতেও পারি না। জগতে জ্ঞানের নামে এই অজ্ঞানতা চলছে
এবং এর সংখ্যা অধিক বলেই এই অজ্ঞানতাই জগতে প্রাধান্য ও স্বীকৃতি
পাচ্ছে।
(দিব্য বন্ধু)