Type Here to Get Search Results !

   Choose Your Language   

Loknath brahmachari ki - Baba lokenath? | লোকনাথ ব্রহ্মচারী কি - বাবা লোকনাথ | বাবা লোকনাথ রহস্য | লোকনাথ বাবার জীবন | Loknath brahmachari biography Bengali, all Sadhu biography in Bengali

 লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অজানা কাহিনী

                                     

Loknath brahmachari ki - Baba lokenath? | লোকনাথ ব্রহ্মচারী কি - বাবা লোকনাথ | বাবা লোকনাথ রহস্য | লোকনাথ বাবার জীবন | Loknath brahmachari biography Bengali, all Sadhu biography in Bengali


ব্রহ্মচারী মহাশয় বলিলেন- শান্তিপুরে বিশুদ্ধ ‘অদ্বৈতবংশে’  তাহার জন্ম। গােস্বামী মহাশয়ের প্রপিতামহের তিনি সহােদর ছিলেন। আত্মজীবন সম্পর্কে তিনি বলিতে লাগিলেন “ আমরা চারি সহােদর ছিলাম বলিয়া, আমার পিতামাতা আমার উপনয়নের পরেই আমাকে একটি ষট্‌চক্রভেদী সন্ন্যাসীর হস্তে অর্পণ করেন। তিনি আমাকে দীক্ষা দান করিয়া সাধন শিক্ষা দিতে লাগিলেন এবং বহু যত্নে নিয়ত আমাকে সঙ্গে সঙ্গে রাখিয়া তীর্থ - পৰ্যটন করিতে লাগিলেন। এইভাবে কয়েক বৎসর অতিবাহিত হইল। যৌবনাবস্থায় ক্রমে আমি দুর্ব্বার রিপুর উত্তেজনায় ছটফট করিতে লাগিলাম, গুরু তখন আমাকে লইয়া কোনও পাহাড়ের সন্নিকটে এক পল্লীতে গিয়া একটি কুটীরে বাস করিতে লাগিলেন। বিধির চক্র, উহারই সন্নিকটে একটি বিধবা সুন্দরী যুবতী বাস করিত। গুরু ভিক্ষা করিয়া উৎকৃষ্ট সামগ্রী সমস্ত আনিয়া নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন আমাকে রান্না করিয়া খাওয়াইতেন; আর সারাদিন কুটীর ছাড়িয়া এদিকে সেদিকে ঘুরিয়া বেড়াইতেন। আমি নিশ্চিন্ত হইয়া নানাভাবে সেই যুবতীর সঙ্গে আমােদ করিয়া কাটাইতে লাগিলাম। এই প্রকারে প্রায় তিন বৎসর আমার কাটিয়া গেল। ঐ দিকে স্পৃহাও ক্রমে আমার কমিয়া আসিল। এই সময়ে সহসা একদিন আমার মনে হইল, এ কি করছি? চিরকাল এই করতেই কি আমি বাপ মা ছেড়ে মহাপুরুষের সঙ্গে এলাম? ' ভিতরে তখন আমার ভয়ানক জ্বালা উপস্থিত হইল। আমি তখন অন্যত্র যাইতে গুরুকে পুনঃ পুনঃ অনুরােধ করিতে লাগিলাম। কিছুদিন তিনি আমার সে কথায় কাণই দিলেন না। পরে আজ যাই, কাল যাই বলিয়া সময় কাটাইতে লাগিলেন। আমারও ক্রমেই অস্থিরতা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। খুব জেদ করিয়া যখন গুরুকে ধরিলাম, তখন তিনি অসুস্থ বলিয়া ভাণ করিতে আরম্ভ করিলেন। ভিতরে অসহ্য জ্বালায় ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া, একদিন গুরুকে বলিলাম— “আর আমি একটি দিনও এখানে থাকিব না। গুরু বলিলেন- “ শরীর বড় অসুস্থ। আর দুই দিন এখানে থাক । " আমি তখন হাতে মুদগর লইয়া গুরুর দিকে ছুটিলাম; বলিলাম সারাদিন কুটীর ছেড়ে ঘুরতে পার, রোজ রোজ ভিক্ষা করে এনে নিজে রান্না করে আমাকে খাওয়াতে পার, তখন তােমার কোন অসুখ থাকে না, আর এস্থান হ'তে যেতে বল্লেই অসুখ হয়। আজ তােমাকেও খুন করব, নিজেও খুন হ’ব। গুরু দৌড়িয়া পলাইলেন। পরে আসিয়া বলিলেন , - “ চল, এবার ঠিক হয়েছে। পথ চলিতে চলিতে গুরুকে বলিলাম — এত দিন আমার কথা গ্রাহ্য কর নাই , আজ যে বড় শুনিলে ? গুরু বলিলেন— “ এত দিন তাে বাবা, তেমন করিয়া বল নাই। তুমি ভােগকে ছাড়িয়াছিলে, কিন্তু ভােগ তােমাকে ছাড়ে নাই, আজ ছাড়িয়াছে। ” অতঃপর কোন এক নিভৃত পাহাড়ে লইয়া গিয়া পয়ত্রিশ বৎসরকাল গুরু আমাকে হঠযােগ অভ্যাস করান। রাজযােগ শিক্ষার জন্য ব্যস্ত হইলে, গুরু আমার হঠযােগের পরীক্ষা নিলেন, বলিলেন— “ তােমার উরুদ্বয়ের মধ্যে হাঁড়ি চাপাইয়া মিষ্টান্ন রান্না করিয়া আমাকে খাওয়াইতে হইবে।” আমি তাহাই করিলাম। তার পরে রাজযােগের উপদেশ দিতে আরম্ভ করিলেন। এই রাজযােগে কৃতকাৰ্য্য হইতে বহুকাল লাগিল। তৎপরে গুরু অন্তর্ধান করিলেন। 

আমি প্রশ্ন করিলাম — আপনি নাকি একবার উদয়াচলে গিয়াছিলেন? ’ ব্রহ্মচারী বলিলেন , “ চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু যেতে পারি নাই। আমার সঙ্গে আরও তিনজন ছিল — হিতলাল মিশ্র ( ত্রৈলঙ্গ স্বামী ), বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মহাত্মা , আবদুল গফুর নামে একজন মুসলমান ফকির। আমরা এই চারজনে সূৰ্য্যলােকে যাইব সঙ্কল্প করিয়া হাঁটিয়া হাঁটিয়া চলিলাম। হিমালয়ের উপর দিয়া ক্ৰমশঃ উত্তর দিকে চলিতে লাগিলাম। আহার আমাদের ফলমূল মাত্র ছিল। বরফের উপর দিয়া এইভাবে বহুকাল চলাতে শরীরের চর্ম একরকম খড়খড়ে হইয়া গেল। পরে সাপের যেমন খােলস ওঠে, আমাদেরও সেই প্রকার একটা খােলস উঠিয়া গেল, তখন শরীরটি ঠিক দুধের মত সাদা হইল। বরফের ঠাণ্ডা শরীরে লাগিত না। 

ছয় মাস দিন ছয় মাস রাত্রি যেখানে হয় আমরা সেস্থানও ছাড়াইয়া বহুদূরে গেলাম। সেখানে এখানের মত দিন রাত বা চন্দ্র সূৰ্য্য কিছুই নাই। 


প্রশ্ন । কতকাল আপনারা ঐরূপ স্থানে চলিয়াছিলেন ? 

ব্রহ্মচারী । যেখানে চন্দ্র নাই , সূৰ্য্য নাই , দিন রাত্রি কিছুই নাই , সেখানে সময় বা বৎসরের হিসাব পাইব কি উপায়ে? তবে, বহুকাল চলেছিলাম এইমাত্র বলতে পারি। 


প্রশ্ন । চন্দ্র সূৰ্য্য নাই , তবে পথ দেখিতেন কি প্রকারে ? 


ব্রহ্মচারী । ও সব স্থানে ক্রমশঃ অগ্রসর হইয়া চলতে চলতে চক্ষের উপাদানই অন্য প্রকার হইয়া গেল। চন্দ্র - সূর্যের আলাে না থাকলেও চক্ষে দেখতে পেতাম। 


প্রশ্ন । আপনারা কি উদয়াচলে উঠেছিলেন ? 


ব্রহ্মচারী । আমরা সকলেই উঠেছিলাম। বেণীমাধব বেশীদুর উঠতে পারলেন না। আবদুল গফুর বহুদূর উঠে ফিরে এলেন; আমিও তাই। হিতলাল মিশ্র কতদূর উঠেছিলেন জানি না। তাকেও নেবে আসতে হল। 


প্রশ্ন। উঠতে পারলেন না কেন ? 


ব্রহ্মচারী । উর্ধদিকে বায়ু ক্রমেই হালকা। আমি যেস্থানে উঠেছিলাম সেখানকার বাতাস অতিশয় হাকা, স্থির ; বাতাসের তরঙ্গ সেখানে নাই। কাজেই শ্বাস - প্রশ্বাস চলে না। শুনিলাম হিতলাল মিশ্র আরও খানিক উঠে বাতাস না পেয়ে নামলেন। 


প্রশ্ন । সে সব মহাত্মারা এখন কোথায় আছেন?


 ব্রহ্মচারী। তখন আবদুল গফুর মক্কাতে গেলেন; এখনও তিনি জীবিত। বেণীমাধব চন্দ্রনাথের পাহাড়ে গিয়েছিলেন। আমি নীচে এসে দু'বার মক্কায় এবং এশিয়া ইউরােপের বহুস্থানে ঘুরে চন্দ্রনাথ যেতেছিলাম, রাস্তায় আমাকে পুলিশে ধরল। তার পর এখানে।


 প্রশ্ন । আপনাকে পুলিশে ধরেছিল কেন? 


ব্রহ্মচারী । কামাখ্যা ( গৌহাটি ) শহরের ম্যাজিষ্টার সাহেব কয়েকটি সাধুর জটার ভিতরে টাকা, মােহর পেয়ে চোর অনুমানে তাদের জেলে আটক রাখেন। জটাধারী পেলেই তাকে ধরবার জন্য পুলিশের উপর হুকুম হ’ল। আমার জটা ছিল, তাই আমাকেও ধরলেন। সাহেব আমাকে কত কথা জিজ্ঞাসা করলেন; আমি উত্তর দিতে পারলাম না। শাকসবজী বহুকাল খেয়ে এবং অনাহারে বহুকাল থেকে জিহ্বা অন্যপ্রকার হয়ে গিয়েছিল, বাকশক্তি ছিল না, কথা বলতে পারতাম না। ম্যাজিষ্টার সাহেবের দিকে একটু তাকাতেই তার ভক্তি হ'ল — আমাকে ছেড়ে দিতে বললেন। অন্যান্য সাধুদের না ছাড়লে আমিও জেলে থাকব, ইঙ্গিতে জানাইলাম; সাহেবের দয়া হ’ল। তিনি আমার মনস্তুষ্টির জন্য আর সকলকেও ছেড়ে দিলেন। পরে আমরা সকলে চন্দ্রনাথ চললাম। এখানকার একটি ভদ্রলােক পথে আমার খুব সেবা করতে লাগলেন। তিনিই আমাকে রাস্তা ঘুরায়ে বারদীতে নিয়ে এলেন। আমি এখানে এসে , সাধারণ লােকের মত, পাগলের মত থাকতাম। একটি ১০/১২ বৎসরের বালিকা নিত্য আমাকে কিছু কিছু খাবার এনে দিত, আমি তা কিছুই খেতে পারতাম না। পরে সেই মেয়েটিই একটু একটু দুধ, পরে মােহনভােগ, তারপর ক্রমে আরও শক্ত শক্ত জিনিস খাওয়াতে আরম্ভ করে। এই সময়ে আমার রক্তের রঙ লাল হ’তেছে দেখলাম এতদিন ঘাসের রসের মত ছিল। ক্রমে ক্রমে কথাও ফুটল। পরে , প্রারব্ধ কৰ্মটুকু শেষ করতে অনেক কাণ্ড করেছি। নাস্তা খেয়ে মুসলমান চাষীদের সঙ্গে ক্ষেতে গিয়ে ক্ষেত নিড়া’য়েছি ; কান্ধে বাঁশ নিয়ে সারারাত জেগে শূকর তাড়া’য়েছি। বহুকাল আমি এইভাবে কাটা’য়েছি; কেহই আমার পরিচয় পায় নাই । শেষকালে জীবনকৃষ্ণই আমাকে মহাপুরুষ বলে প্রচার করে সর্বনাশ করবার যােগাড় করছে। এখন দিন - রাত এখানে লােকের ভিড়। একটু স্থির হতে পারি না।


© YogiKathaOfficial - YouTube

https//:spiritualbook.yogsiddhi.in

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. Head-to-head play in opposition to the dealer and an optionally available bonus wager paying odds if the player's last five card hand is three-of-a-kind or better. Play in opposition to the dealer and get as near 21 as find a way to|you probably can} in the basic recreation of blackjack. Side bets add to the thrill, and you can win up to as} $500 with the Royal 소울카지노 Match aspect wager or $100 with the Push Your Luck wager. However, if you’re dealt a tough two-card complete of 15, sixteen, 17 or 18, might have} the option to get two new cards.

    উত্তরমুছুন