জগৎ জননী মহামায়ার আরেক রূপ এই মহাকালী
![]() |
মহাকালী মন্ত্র, কালী বীজ মন্ত্র,বিশেষ কালী মন্ত্র ,মহা কালী মন্ত্র,কালী গায়েত্রী মন্ত্র,মহা কালী মন্ত্র,মা কালী স্তোত্র |
১.কালী বীজ মন্ত্র:-
"ওম ক্রিম কালীকায় নমহ", এই মন্ত্রটিই হিন্দু শাস্ত্রে কালী বীজ মন্ত্র নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটির অন্দরে এত মাত্রায় শক্তি মজুত রয়েছে যে তা পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। বাড়তে শুরু করে পজেটিভ শক্তির প্রভাব। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয়। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, যারা কালী মন্ত্র নিয়ে চর্চা করেন, তাদের মতে প্রাচীন নানা বইয়ে যে যে কালী মন্ত্রগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হল এটি। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি নিরাপদে কাটাতে হয়, মধ্যরাত্রে মা কালীর ছবি বা মূর্তির সামনে বসে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. মহাকালী মন্ত্র:-
একথা ঠিক যে জীবন থাকলে কষ্ট এবং যন্ত্রণা তো থাকবেই। কিন্তু মাঝে মাঝে নানাবিধ সমস্যা এত প্রবল আকার ধরণ করে যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এমনকী সেই সব সময়ে মনের জোর এত কমে যায় যে কোনও কিছুই ভাল লাগতে চায় না। তবে আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু বাকি জীবনে আর কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু কীভাবে সম্ভব এমনটা? এমন সুফল পেতে কালী পুজোর দিন যদি এক মনে "মহাকালী মন্ত্র" জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে "ওম শ্রী মহা কালীকায় নমহ", এই মন্ত্রটি পাঠ করেল দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে দুঃখ-কষ্ট তো কমেই। সেই সঙ্গে নানাবিধ সমস্যা কমে যেতেও সময় লাগে না।
৩. বিশেষ কালী মন্ত্র:-
"ওম হ্রিম শ্রীম ক্লিম অধ কালীকা পরম ঈশ্বরী সোয়াহা", এই মন্ত্রটি কালী পুজোর দিন অমাবস্যা তিথি পড়া মাত্র যদি ১০৮ বার পাঠ করা যায়, তাহলে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ইগো, রাগ এবং ইর্ষার মতো ধ্বংসাত্মক অনুভূতিগুলির প্রভাব কমতেও সময় লাগে না। ফলে মানুষ হিসেবে আমাদের উত্তরণ ঘটে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে, যে ব্যক্তি নিজেকে এবং কাউকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করে না, তাঁর থেকে খুশি মানুষ এই পৃথিবীতে আর কেউ আছে নাকি!
৪. মহা কালী মন্ত্র:-
তিনটি বীজ শব্দ দিয়ে তৈরি এই শক্তিশালী মন্ত্রটি কালী পুজোর দিন এক মনে পাঠ করলে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব যেমন কমতে শুরু করে, তেমনি যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র কালো যাদুর প্রভাবও কমতে শুরু করে। তাই তো বলি বন্ধু, এমন প্রতিযোগিতাময় পরিবেশে বহু মানুষ যে আপনার ক্ষতি করতে চায়, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। তাই নিজেকে এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে নিরাপদে রাখতে কালী পুজোর দিন এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ক্রিং ক্রিং ক্রিং হিং ক্রিং দক্ষিণা কালীকে ক্রিং ক্রিং ক্রিং হ্রিং হ্রিং হাং হাং সোয়াহা"।
৫. কালী গায়েত্রী মন্ত্র:-
"ওম মহা কালীকে চ ভিদমাহে সমশনা ভশিনিয় ধিমাহে তানো কালী প্রাচোদায়াত।" এই কালী মন্ত্রটিই শাস্ত্রে কালী গেয়ত্রী মন্ত্র নামে পরিচিত। মায়ের সামনে বসে এক মনে এই মন্ত্রটি জপ করলে মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে শুরু করে। ফলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মন্ত্রটির অন্দরে মজুত মাতৃশক্তির প্রভাবে আমাদের মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা হতাশা, দুঃখ এবং খারাপ চিন্তার প্রভাবও কেটে যায়। ফলে অনন্দে ভরে ওরে ওঠে মন-প্রাণ। সেই সঙ্গে দেবীর আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধিরও ছোঁয়াও লাগে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৬. মহা কালী মন্ত্র:-
"ওম ক্লিম কালীকাওই নমহ", এই মন্ত্রটি যে কোনও সময়, যে কোনও মুহূর্তে মনে মনে পাঠ করতে পারেন। আর কালী পুজোর দিন যদি এক মনে পাঠ করা যায়, তাহলে তো কথাই নেই! কারণই এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র যে কোনও সমস্যা মিটে যায়। সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে বৈবাহিক জীবন সুখ-শান্তির ছোঁয়াও লাগে। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের ঝামেলা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে।
৭. মা কালী স্তোত্র:-
শাস্ত্র মতে কালী পুজোর দিন পুজোর লগ্ন শুরু হওয়ার পর যদি এই স্তোস্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে দেবী মা এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, স্তোস্ত্রটি হল-"ওম কালী, কালী! ওম কালী, কালী! নমস্তে নমস্তে নমো! নমস্তে, নমস্তে নমো,