Type Here to Get Search Results !

   Choose Your Language   

স্বাধীষ্ঠান চক্র,মানবদেহের সাতটি চক্র,সপ্ততালা ভেদ,

 Unblock_করুন_স্বাধিষ্ঠান

*#সাফল্যে_হবেন_অধিষ্ঠান



............



স্বাধিষ্ঠান চক্র



★ মূলাধারের ঊর্ধ্বে লিঙ্গমূলে রয়েছে স্বাধিষ্ঠান চক্র।  এখানকার পদ্ম সিঁদুর বর্ণ এবং ছয়দল পদ্ম পাপড়ি যুক্ত। দেবতা বরুণ, আকার অর্দ্ধচন্দ্রের মত এবং শুভ্র। চক্রের বীজ বং। বাহন মকর। অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বিষ্ণু এবং শক্তি রাকিনী । অধিদেবতা আদ্যাশক্তি ।


★স্বাধিষ্ঠান যদি ভালো অবস্থায় থাকে, তাহলে মানুষের শরীরবিদ্যাও নিখুঁত অবস্থায় থাকে। যদি কোনও ত্রুটি থাকে তবে এর অর্থ হল স্বাধিষ্ঠানের কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার। 


★এই ব্যক্তিত্বগুলি সহজেই যে কোনও ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। সুতরাং, এই জাতীয় বিষয়গুলি কেবল বিপরীত লিঙ্গের প্রতিনিধিদের সাথে সহজেই পরিচিত হতে পারে না, তবে তাদের সাথে সুসম্পর্কও বজায় রাখতে পারে।


★ যাদের স্বাধিষ্ঠান জাগ্রত তারা সবসময় গভীর অনুভূতি প্রকাশ করে এবং মানুষকে বিভক্ত করার পরিবর্তে একত্রিত করে।

তারা আবেগপ্রবণ, এবং এই আবেগ সৃষ্টি, সুখের শক্তি প্রবাহ প্রতিষ্ঠা করতে এবং পরবর্তী জীবনের জন্য উদ্দীপনা নির্ধারণ করতে সক্ষম।

এই লোকেরা সহজেই জীবনের পরিবর্তনগুলি বুঝতে পারে, কারণ তারা তাদের মধ্যে দুর্দান্ত সম্ভাবনা দেখতে পায়। এই ধরনের লোকেরা নিজেদেরকে বৈচিত্র্যময় সমাজের অংশ হিসেবে দেখে। তারা খাবার, পানীয়, বিশ্রাম থেকে দারুণ আনন্দ পায়। তারা আধ্যাত্মিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়ও আনন্দ পায়।


★ স্বাধিষ্ঠান চক্র ব্লক থাকলে জীবনে কী প্রভাব পড়ে:


আমাদের সূক্ষ্ম শরীরে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন চক্রগুলি হল আত্মার ‘অ্যানাটমি’। মানুষের শরীরের সব চক্রগুলি একই ভাবে খোলা থাকে না। জন্মান্তরের কর্মফল অনুসারে কারও কোনও চক্র খোলা থাকে, আবার অনেকের কোনও একটি বা দু’টি চক্র পুরোপুরি ব্লক থাকে। চলুন জেনে নিই স্বাধিষ্ঠান চক্র ব্লক থাকলে আমাদের জীবনে কী রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


১) মানুষের সঙ্গে মানুষের যে মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, মানে ভাবের আদান প্রদান, তা পুরোপুরি এই চক্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই চক্র ব্লক থাকলে আমাদের ব্যক্তিগত ভালবাসার সম্পর্ক, পারিবারিক, সামাজিক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, এমনকি যৌন সম্পর্ক-সহ যাবতীয় সম্পর্ক বাধা পায়। পৃথিবীতে যত রকম সম্পর্ক আছে, তা এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।


২) এই চক্র ব্লক থাকলে আমরা আন্তরিক হতে পারি না। আমাদের ব্যবহারে নমনীয়তার অভাব দেখা যায়। কারও সঙ্গে ভাল ভাবে মিশতে পারি না। সামাজিক হতে পারি না, বন্ধুত্ব করতে পারি না, প্রেম করতে পারি না। অর্থাৎ মনের ভাবগুলি অপরের কাছে তুলে ধরতে পারি না। আপনি অন্যের সাথে মেশার সব রকম চেস্টা করছেন কিন্তু সবাই আপনার ভালোটাকে মন্দ চোখে দেখছে।


৩) আমাদের যৌন আবেগ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হয় এই চক্র থেকে। এই চক্র ঠিক মতো খোলা না থাকলে যতটা যৌন তৃপ্তি পাওয়া উচিত ততটা পাওয়া যায় না। এর ফলে নানা রকম মানসিক রোগের শিকার হতে হয়।


৪) যে সব মেয়েদের ঋতুস্রাব বাধা পায়, তাঁদের স্বাধিষ্ঠান চক্র অবশ্যই ব্লক আছে বুঝতে হবে।


৫) বহু চেষ্টা করেও যাঁদের সন্তান হচ্ছে না, তাঁদের স্বাধিষ্ঠান চক্র ব্লক থাকে। সন্তান সৃষ্টির যাবতীয় প্রক্রিয়া স্বাধিষ্ঠানের অধীন।


৬) শুধুমাত্র মেলামেশার ধরন দেখে বলে দেওয়া যায়, স্বাধিষ্ঠান চক্র ব্লক আছে কি না। যাঁরা স্বভাবিক ভাবে সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন না, তাঁদের এই চক্র ব্লক রয়েছে ধরে নিতে হবে।


৭) আমাদের ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি এখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। কেউ সব জায়গায় বিশেষ কদর পান, আবার অনেকে সে ভাবে সমাদার পান না। এই বিষয়টাও এখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। কিছু শিশুকে সবাই আদর করে, আবার কিছু শিশু সে ভাবে আদর পায় না। এমনকি অনেক শিশু পিতৃস্নেহ বা মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। এটা হয় এই সব শিশুর স্বাধিষ্ঠান ব্লক থাকার কারণে।


৮) বার বার মনে হয়, এই সমাজ বা পরিবার আমাকে সে ভাবে গ্রহণ করছে না। নিজেকে মূল্যহীন মনে হয়। বার বার মনে হয়, কেউ সে ভাবে আমায় ভালোবাসে না। এই বোধ থেকে আসে জীবনের প্রতি চরম হতাশা।

আরো প্রায় ১২ টি লক্ষন আছে। যা পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে।


🙏কৃতজ্ঞতা স্বীকার🙏 - রতন কর্মকার।(ঢাকা, বাংলাদেশ) 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.