প্রেতপক্ষ বা তর্পণ কবে পালন করা হবে?
.................
![]() |
পিতৃপক্ষ, প্রেতপক্ষ ২০২৩ |
আগামী ১১ আশ্বিন ১৪৩০,ইং ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অপর পক্ষ বা প্রেতপক্ষ বিহিত শ্রাদ্ধ ও তিলতর্পণারম্ভ,এই পূর্ণময় পক্ষে প্রয়াত পিতৃদেব মাতৃদেবী তথা পূর্ব পুরুষগণের উদ্দেশ্য তিলতর্পণ করুন।
সনাতন ধর্ম মতে, পিতৃপক্ষ পূর্বপুরুষের তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। আমাদের কাছে যা সাধারণত "মহালয়া" নামে পরিচিত। এই পক্ষ পিত্রুপক্ষ,ষোলা শ্রাদ্ধ, কানাগাত, জিতিয়া, মহালয়া পক্ষ ও অপরপক্ষ নামেও পরিচিতি।।
বছরের ১২মাসে ২৪টি পক্ষ রয়েছে,তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ। প্রথমটি পিতৃপক্ষ এবং দ্বিতীয়টি দেবীপক্ষ।।
পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য দান-কর্মের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ১৫ দিনের সময়কালে মানুষজন পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে। পিতৃপক্ষ ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় এবং আশ্বিন মাসের অমাবস্যা পর্যন্ত।
পিতৃপক্ষের তাৎপর্যঃ-------
পিতৃপক্ষের সময় মঙ্গলময় ও শুভকাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই সময় বাড়িতে প্রবেশ, মুণ্ডন, নতুন বাড়ি বা যানবাহন কেনাও নিষিদ্ধ। পিতৃপক্ষের সময়টি জন্মকোষ্ঠীতে পিতৃদোষ দূর করার জন্য শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। এই দিনগুলোতে পূর্বপুরুষদের খুশি করতে এবং তাঁদের আশীর্বাদ পেতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পিতৃপক্ষের সময় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য পিন্ড দান এবং শ্রাদ্ধ করা হয়। পিতৃপক্ষে পিণ্ডদানের জন্য কিছু স্থান খুব পরিচিত। যার মধ্যে গয়াতে পিণ্ডদানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। পিতৃপক্ষে ব্রাহ্মণদের অন্ন প্রদানের আইনও রয়েছে। কিন্তু যাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের মৃত্যুর তারিখ জানেন না, তাঁরা অমাবস্যা তিথিতে শ্রাদ্ধ করতে পারেন।