আজ ইন্দিরা একাদশী--
জেনে নিন একাদশীর সঠিক তিথি, শুভ সময় ও পুজোর মুহূর্ত :---
পিতৃপক্ষে পতিত একাদশীকে ইন্দিরা একাদশী বলা হয়, এই উপবাসের প্রভাবে পিতৃপুরুষদের যমলোকে যেতে হয় না এবং তারা মোক্ষ লাভ করে। ইন্দিরা একাদশীর পৌরাণিক কথা জেনে নিন এখান থেকে।
1. ইন্দিরা একাদশী ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে। পিতৃপক্ষের ইন্দিরা একাদশীকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। মনে করা হয়, ইন্দিরা একাদশীর উপবাসের মহিমার কারণে যমলোক থেকে মুক্তি পায় পিতৃপুরুষরা এবং তারা মোক্ষ লাভ করেন।
2. এই দিনে উপবাস পালন, একাদশীর শ্রাদ্ধ ও শ্রী হরির পুজো করলে সাত প্রজন্মের পূর্বপুরুষরা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হন। নরকে যাওয়া পূর্বপুরুষরা রক্ষা পায়। আসুন জেনে নিই ইন্দিরা একাদশীর শুভ সময় ও পৌরাণিক তাৎপর্য।
3. ইন্দিরা একাদশীর মুহূর্ত: আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ একাদশী তিথি শুরু ৯ অক্টোবর ২০২৩, দুপুর ১২ টা ৩৬ মিনিটে, আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ একাদশী তিথি শেষ হবে - ১০ অক্টোবর ২০২৩, দুপুর ৩ টে ০৮ মিনিটে।
4. ইন্দিরা একাদশীর পুজোর সময় - ১০ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ৯ টা ১৩ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত। ইন্দিরা একাদশীর উপবাস ভাঙার সময় – ১১ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ০৬ টা ১৯ মিনিট থেকে সকাল ৮ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত।
5. ইন্দিরা একাদশীর কথা: সত্যযুগে ইন্দ্রসেন নামে এক প্রতাপশালী রাজা মহিষমতি নামে একটি নগরে রাজত্ব করতেন। তিনি পুত্র, পৌত্র, ধন-সম্পদ ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ ছিলেন। তার শত্রুরা সবসময় তাকে ভয় পেত। একদিন নারদ মুনি তাঁর মৃত পিতার বার্তা নিয়ে রাজা ইন্দ্রসেনের সাক্ষাতে পৌঁছলেন। নারদ মুনি জানান যে, কিছুদিন আগে তিনি যখন যমলোকে গিয়েছিলেন, তখন তিনি রাজার পিতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাজার পিতা জানান, জীবদ্দশায় একাদশীর উপবাস ভঙ্গের কারণে তিনি এখনো মোক্ষ লাভ করতে পারেননি। তিনি এখনও যমলোকে আছেন।
6. পিতার অবস্থা শুনে রাজা ইন্দ্রসেন খুবই দুঃখ পেলেন। তিনি নারদ মুনির কাছ থেকে পিতাকে মুক্তির সমাধান জেনে ছিলেন। নারদ মুনি রাজাকে বলেছিলেন যে তিনি যদি আশ্বিন মাসের ইন্দিরা একাদশীর উপবাস করেন তবে তাঁর পিতা সমস্ত দোষ থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠে যাবেন, স্বর্গ লাভ করবে। রাজা ইন্দ্রসেন নারদ মুনির বলা পদ্ধতি অনুসারে ইন্দিরা একাদশীর উপবাস পালনের জন্য প্রস্তুত হন। রাজা ইন্দ্রসেন উপবাসের সংকল্প নেন এবং ইন্দিরা একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করেন, পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধ করেন, ব্রাহ্মণদের খাদ্য দান করেন। যার ফলশ্রুতিতে রাজার পিতা স্বর্গ লাভ করেন এবং ইন্দ্রসেনও মৃত্যুর পর মোক্ষ লাভ করেন।