আয়ান ঘোষ তিনি পূর্বজন্মে কে ছিলেন ?
তিনি কিভাবে রাধা রানীকে পেলেন ?
রাধারানী বিবাহিতা হয়েও শ্রীকৃষ্ণকে আবার কিভাবে বিবাহ করলেন?
........
রাধারানী ও আয়ান ঘোষের কথোপকথন |
🍁লক্ষ্মী দেবী যেমন নারায়নের নৃত্যশক্তি,কখনো লক্ষী দেবীকে বিবাহ করে নারায়ন পত্নীত্বে বরণ করেছিলেন এমন নয় তারা চিরকাল নৃত্য পতি ও পত্নী রূপেই বিরাজমান। তেমনই গোলোকে শ্রীরাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণ নিত্য দম্পতি রুপে বিরাজমান।কিন্তু ভৌম ব্রজলীলায় রাধারানীর সঙ্গে অভিমন্যু বা আয়ান ঘোষের যে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল তা বিশেষ লীলারস আস্বাদন করার জন্য ভগবানের যোগমায়া শক্তির অঘটন ঘটন পটিয়সী ব্যবস্থাপনা মাত্র। 🍁
🍁ভগবান শ্রীহরিকে দর্শনের জন্য অভিমুন্য পূর্ব জীবনে কঠোর তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন। তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান শ্রী হরি তাকে দর্শন দিয়েছিলেন এবং প্রশ্ন করেছিলেন যে তুমি কি বর চাও।🍁
🍁তখন তপস্বী বলেছিলেন--হে ভগবান!আপনি আমাকে কি দিতে পারেন। শ্রী হরি বলেছিলেন তুমি যা চাইবে তাই দেবো,এবার বলো।শ্রী হরি এই বাক্যের সততাকে পরীক্ষা করবার জন্য তপস্বী বলেছিলেন।🍁
🍁আমি চাই লক্ষী দেবীকে পত্নীরূপে লাভ করতে।তপস্বীর এইরকম অদ্ভুত বর শুনে পরমেশ্বর শ্রী হরি বলেছিলেন-সে তপস্বী!তুমি যখন দাপড়ে জটিলার পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করবে তখন তোমার বাসনা পূর্ণ হবে।কিন্তু কখনই তুমি লক্ষীকে স্পর্শ করতে পারবে না।এই বলেছি হরি অদৃশ্য হলেন।🍁
🍁পরবর্তীতে সেই তপস্বী জটিলা দেবীর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন,কিন্তু বিবাহ লগ্নে তার বুদ্ধি ভ্রম হয় তিনি কেবল দর্শকের মতোই বসে থাকলেন।🍁
🍁রাধারানী শ্রীকৃষ্ণের কাছে বহু মিনতি করেছিলেন যাতে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া তার বরণ মালা কেউ যেন গ্রহণ না করে।ঘটনা ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণই বিবাহ বেদীতে রাধারানীর মালা গ্রহণ করেছিলেন,কিন্তু উপস্থিত জনতার কাছে শ্রীকৃষ্ণ অভিমন্যু রূপেই প্রতিভাত হন।যেভাবে মথুরার কংসযুদ্ধে তিনি বিভিন্ন রূপে প্রতিভাত হয়েছিলেন।🍁
🍁শ্রীকৃষ্ণ কাউকেই বিরক্ত করতে চাননি।কিন্তু লীলার খাতিরে পূর্বে রাধারানী অভিশপ্ত হয়েছিলেন যে শত বর্ষ তাকে কৃষ্ণ বিরহে থাকতে হবে।তাই অভিমন্যুর ঘরেই শ্রীমতি রাধারানী গৃহিনী মাত্র হয়ে দিন অতিবাহিত করে সর্বক্ষণ শ্রীকৃষ্ণ চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন।আর এটিই ছিল অভিমন্যুর পূর্ব জীবনের তপস্যার ফল স্বরূপ।প্রকৃতপক্ষে শ্রী রাধা রানীর বিবাহ শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেই হয়েছিল।অভিমুন্য সঙ্গে কদাপি নয়।🍁
🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏