যোগমায়া কে?
...............
![]() |
Yogmaya Devi |
যিনি ভক্তকে মায়ার বন্ধন থেকে সরিয়ে এনে তার ঈষ্ঠের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় , তিনিই যোগমায়া ৷
বেদে যাকে পরমব্রম্ভ পরআত্মা বলা হচ্ছে, তন্ত্রে তাঁকে পরমব্রম্মময়ী পরআত্মময়ী বলা হচ্ছে ৷ এই যোগমায়াকে বেদমাতা, গায়ত্রী মাতা এবং তন্ত্রমাতাও বলা হয় ৷ তিনি এক হাতে বেদ ও অন্য হাতে তন্ত্র ধারন করে আছেন ৷ ইনি ভগবান কৃষ্ণের অন্তরঙ্গা শক্তি , ইনিই ভগবান বিষ্ণুর কাছে যোগনিদ্রা যোগমায়া , ভগবান শিবের কাছে অর্ধাঙ্গিনি এবং মহাশক্তি , প্রজাপাতি ব্রম্মার কাছে মহাবিদ্য মহামায়া , সমস্ত দেবগন -মুনিগনের কাছে মাতঃ, তিনি দক্ষ রাজার কন্যা সতী, হিমালয়ের কন্যা পার্বতি, জনক রাজার কন্যা সীতা, বৃষভানুর কন্যা রাধা, রামচন্দ্রের কন্যা মা সারদা, মা য়শোদার কন্যা মহামায়া, কাত্তায়ন ঋষির কন্যা দেবী কাত্তায়নি , মতঙ্গ মুনির কন্যা দেবী মাতঙ্গী, ইনি ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মানী, ইন্দ্রলোকে ইন্দ্রানী, বৈকুন্ঠে নারায়নী, গোলকে রাধা, শিবলোকে শিবানী, বিষ্ণু লোকে বৈষ্ণবী, ইনিই সত্যযুগে ত্রিপুরা সুন্দরী, ত্রেতাযুগে ভুবনেশ্বরী, দাপরে তারা- তারিনি, কালিযুগে কালিকা ৷
রাধা কথার অর্থ 'আরাধিকা'
অর্থাৎ আরাধনা ৷
যিনি কৃষ্ণের পরিচর্যা করেন, তাঁকে সেবা দেন,তাঁকে স্নান করান,তাঁকে ভোজন করান,তাঁর কথা অহরহ চিন্তা করেন,তাঁর মঙ্গলের জন্য ব্রত পালন করেন, তিনিই রাধা ৷
বৈকুন্ঠ কথার অর্থ,
'ব' মানে মুক্তি
'ঐকার' মানে আর্শিবাদ
'কুন্ঠ 'মানে চিন্তাহীন
অর্থাৎ যিনি আর্শিবাদ করে মুক্তি দিয়ে চিন্তাহীন স্থানে প্রেরন করেন, সেই স্থানকেই বৈকুণ্ঠ বলে ৷
গোলক মানে
'গো' মানে গাভী আবার 'গো' মানে ব্রহ্মজ্ঞান
'লোক' মানে শান্তির জায়গা, আধ্মাতিক আনন্দের জায়গা ৷
যেখানে কামধেনু থাকে, যেখানে ব্রহ্মজ্ঞানের আলোচনা হয়, শান্তি বিরাজ করে, সেটাকেই গোলক বলে ৷
🙏হরে কৃষ্ণ🙏