চৈতন্যদেবের যখন বাহ্যদশা হত তখন নামসংকীর্তন করতেন। অর্ধ-বাহ্যদশায় ভক্তসঙ্গে নৃত্য করতেন। অর্ন্তদশায় সমাধিস্থ হতেন।
![]() |
চৈতন্যদেবের ভক্তসঙ্গে নৃত্য |
জীবের প্রত্যেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসে জন্ম মৃত্যু হয়।
কারো যদি কুণ্ডলিনী শক্তি জাগরণ হয় তারও একপ্রকার মৃত্যু হয়। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি আর থাকেনা ।
তখন সাধক আনন্দে বলে ওঠে গুরু কৃপায় ফলে আমার বিষ তুল্য দেহ আনন্দময় অমৃত তুল্য হয়েছে ।
শ্বাসের গতি ধীর হতে ধীর, স্থির হয়ে যায় যবে;
"কাল" কে জয় করেই যোগী, মুক্ত তখন ভবে !
"কাল" তখন বুক পেতেছেন কালীর চরণ তলে,
যোগী তখন জ্যান্ত মড়া,
শাস্ত্র যে তাই বলে !
যোগীর তখন নেইকো খিদে, ঘুম হয়েছে গত ;
শাস্ত্রে তাহার কি আসে যায়, স্বয়ং ব্রহ্মরত !
মন এখন মৌন তাহার,ইচ্ছে গেছে চলে;
বলল গুরু শোনরে বাছা,"শিব যে একেই বলে !"
"শিব" হ'ল অবস্থা এক,
যোগ সাধনার ফল ;
গুরুচরণ মোর "শিব লিঙ্গ"
আর অশ্রু "গঙ্গাজল !"
এমত অবস্থায় সাধকের সর্বদা কূটস্থ বা আজ্ঞা চক্র দীদল পদ্মে মন থাকে ।
তখন সাধক ক্ষণে ক্ষনে সাধক জ্যান্ত মরে ।
জাগতিক মৃত্যু হলো দেহ থেকে প্রাণ যখন ছেড়ে চলে যায় ।
এই মৃত্যুতে কষ্ট আছে।
কিন্তু সাধক যে জ্যান্ত মরা এই অবস্থায় যেতে চায় সেখানে মহা আনন্দ সাগর সেখানে যেতে পারলে জাগতিক চাওয়া পাওয়া মান, অপমান ,লজ্জা, ঘৃণা, ভয় না হলো কোন কিছু মধ্যে মন থাকে না সর্বদা শান্তি বিরাজ করে মনে।
যারা প্রকৃত সাধক তারা প্রত্যেকে এই অনুভবই করতে চায়।
কিন্তু সঠিক পদ্ধতি সঠিক গুরু না পাওয়ায় তাদের জীবনে হয়ে ওঠে না।
প্রত্যেক জীবাত্মা চায় পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করতে।
মায়া এত প্রভাবশালী সেখানে পৌঁছাতে দেয় না শুধুমাত্র গুরু কৃপায় সেখানে পৌঁছানো যায়।
🙏🏻🙏🏻জয় গুরু মহারাজের জয়🙏🏻🙏🏻